Learn more
লোকাল এসইও এর পূর্ণরূপ হল লোকাল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা স্থানীয় SEO।
লোকাল এসইও হলো কোন নির্দিষ্ট এরিয়ার অডিয়েন্স বা কাস্টমারকে টার্গেট করে ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কে এমন ভাবে অপ্টিমাইজ করা যাতে ঐ নির্দিষ্ট এরিয়াতে অয়েবসাইটির ট্রাফিক বাড়ে, লিড জেনারেট হয় , স্থানীয় লোকজন সেই প্রডাক্ট এর ব্যান্ড সম্পর্কে অবগত হয় ।
ধরুন মিরপুরে আমার একটা ঘরের তৈরি খাবারের বিজিনেস আছে মজারFoods নামের যেখানে খাবার গুলো অফলাইনে মিরপুর এরিয়াতেই বিক্রি করে থাকি এবং এটার অন্য কোথাও কোন শাখা নাই।
এখন আমি যদি কোন একটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দিয়ে এসইও করাই এবং তার রেজাল্ট যদি সোনারগাঁ বা ডেমরা এলাকার কাস্টমারা দেখে এবং আমাকে অর্ডার দেয় তাহলে তো অর্ডার নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমরা এত দূরে ডেলিভারি দেই না, আমাদের বিজিনেস পুরোপুরি
মিরপুর এরিয়া ভিত্তিক। এই এসইও রেজাল্ট আমার বিজিনেস এ কোন লাভ আসবে না। কিন্তু মিরপুর বাসি যদি আমার মজারFoods সার্চ করে বেশি বেশি পায় তাহলে আমরা অর্ডার নিতে পারবো এবং তখন আমার বিজিনেসও বেশি বেশি হবে।
এখন এই মিরপুর কাস্টমারদের জন্য মজারFoods নিয়ে যে ভাবে SEO করলে মিরপুর বাসি সার্চ ইঞ্জিনে মজারFoods এর খাবার বেশি বেশি খুজে পায় সেটাকেই লোকাল বা স্থানীয় SEO বলে।
লোকাল SEO গুরুত্বপূর্ণ কেন?
স্থানীয় এলাকা জুড়ে অডিয়েন্স গুলো টার্গেট করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক বৃদ্ধির জন্য লোকাল SEO গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় ব্যাবসার জন্য লোকাল SEO কতটা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝার জন্য নিচে কয়েকটি পরিসংখ্যান দেখতে পারি
১। গুগলে সমস্ত অনুসন্ধানের ৪৬% স্থানীয়।
২। সমস্ত গুগল SERP তে ২৯% উপাদানই স্থানীয়।
৩। ৭৬% গ্রাহকরা স্থানীয় কিছু সার্চ করে সেদিনই ফোন করে দোকানে যান।
এটা স্পষ্ট যে আপনি যদি লোকাল এসইও করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার ব্যাবসা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
কি ভাবে লোকাল SEO করবেন?
লোকাল SEO করতে হলে যে সব বিষয় গুগলে রেংকিং বাড়ায় সে সব বিষয়ে কাজ করতে হবে। বিষয় গুলো হলো
১। লোকটি যে জায়গা থেকে সার্চ করে।
২। NAP উদ্ধৃতি
৩। গুগল আমার ব্যবসা তালিকার উপস্থিতি
৪। গুগল আমার বিজনেস প্রোফাইলে ব্যবহ্রত কীওয়ার্ড
৫। অনলাইন পর্যালোচনা সংবেদন
৬। অনলাইন পর্যালোচনায় ব্যবহ্রত কীওয়ার্ড
৭। সেই জায়গায় চেক-ইন এর সংখ্যা
৮। সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ারগুলি
৯। সেই বনাকে খুব সহজেই খুঁজে পেতে সহায়তা করে।