Learn more
বাংলাদেশে বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের চাহিদা অনেক অংশে কমিয়ে দিছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং। এটা এমন একটা পেশা যখন কাজ করার ইচ্ছা তখন করতে পারবেন এবং কোন সময় দেয়া থাকবেনা। আপনার যখন ইচ্ছা যেই সময় ইচ্ছা, এবং যেখানে ইচ্ছা কাজ করে যেতে পারেন।
এখানে শুধু দরকার একটি নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা। এখানে ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কোডীং, এনিমেশন, ব্লগিং থেকে শুরু করে অনেক কাজ আওনি এখানে পেয়ে যাবেন।
এখন আসি ফ্রিল্যান্সিং কি??
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এটা চাকরির মতোই তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা গেল আপনার দিনে কাজ করতে ভালো লাগলো না তখন রাতে কাজে বসলেন। আবার এমনও হলো আজ সময় পেলেন না পরের দিন কাজ করলেন নিজের স্বাধীন মতো ধরাবাঁধা কোন অফিস টাইম নাই।
সাধারনত এখানে চাকরি থেকে আরেকটা ভিন্নতা আছে তা হলো কাজের স্থান, ফ্রিল্যান্সিং এর কোন নির্দিষ্ট অফিস নাই। আপনার বাড়িই হচ্ছে আপনার অফিস। বাসায় বসেই দেশের ভবিভভিন্ন দেশের বায়ারের সাথে কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি যথেষ্ট পরিমানের দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সহজেই সরকারি বেসরকারি চাকরি থেকে বেশি বেতনের কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতা প্রয়োজন?
আমরা অনেকেই সংশয়ও সন্দেহে থাকি আসলেই কি আমি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবো কিনা? কি কি লাগে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য? একটা কথা বলে রাখি ফ্রিল্যান্সিংএ সবচেয়ে যেই জিনিষটা প্রয়োজন তা হলো নিজের ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্য। ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্য যদি থাকে তাহলে বাকি জিনিষ আপনি নিজেই খুজে নিতে পারবে। এবং এর পাশাপাশি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি জানা দরকার। ইন্টারনেটে ভালো ধারণা এবং গুগল, ইউটিউব থেকে বিভিন্ন রিসোর্স খুজে বের করা জানতে হবে। গুগল, ইউটিউব নিয়ে গাটাগাটি করলে অনেক ভালো ভালো জিনিষ জানতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন?
এই প্রশ্ন টা সবার মনেই ঘুরে যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। এই পেশায় কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটা নিদির্ষ বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনার যে কাজে আগ্রহ বেশি সেই কাজ টাই বেছে নিবেন। আপনি যদি আপনার আগ্রহ অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে সেই কাজ করতে মজা পাবেন এবং অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সেকশনটা বেছে নিলেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই কাজ টি ক্রিয়েটিভ মানুষের জন্য সবার দ্বারা ডিজাইন করা সম্ভব না। এটা বেছে নেয়ার আগে দেখবেন আপনি ডিজাইনের কাজ টি কেমন পারছেন, কেমন আগ্রহ গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর। যদি দেখেন সব ঠিকই আছে আপনি পারবেন ধৈর্য্য নিয়ে ক্রিয়েটিভ চিন্তা করে ডিজাইন করতে। তখন গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড যত কাজ আছে যেমন: ব্যানার, কভার পেজ, লিফলেট, পোস্টার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইন করা সব শিখবেন।
কাজ শিখার পরে কাজ করার পালা, আপনাকে প্রথমেই কাজ করার জন্য একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রাটর্ফমে একাউন্ট খুলতে হবে।বর্তমানে অনেক প্লাটর্ফম রয়েছে , যেমনঃ Fiverr, Freelancer, Upwork ইত্যাদি। এগুলোতে একাউন্ট খোলার পরে আপনার কাজ গুলোকে প্রোর্টফোলিও আকারে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে, এর পর শুধু কাজের জন্য অপেক্ষা। একটা কথা মনে রাখবেন প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই প্রথম কাজ পাওয়াটা কষ্ট হয়ে থাকে। তাই ধৈর্য্য হারা হওয়া যাবে না।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পাবেন?
মার্জেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, একজন ক্লায়েন্ট আপনাকে কেন কাজটি দিবেন? তার জন্য অবশ্যই আপনাকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভালো হতে হবে। এবং আপনাকে যে কাজটির জন্য ক্লায়েন্ট পেমেন্ট করবে সেই কাজ টি অনেক ভালোভাবে করে দিতে হবে।
মনে রাখবেন, ক্লায়েটের সাথে যত ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ততো ভালো হবে। তাই ক্লায়েন্টের সাথে চেষ্টা করবেন সুসম্পর্ক তৈরি করতে।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাঃ
সময়ের স্বাধীনতা, কাজের স্বাধীনতা, নিজের বেতন নিজে ঠিক করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুজুগ, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুজুগ, নিজের মন মতো কাজের পরিবেশ।